প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চতা বৃদ্ধি করুন – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: সত্যি বলতে উচ্চতা বৃদ্ধি মূলত বংশগত, আপনি কতটুকু লম্বা হবেন তার ৮০% নির্ভর করে আপনার বংশের ওপর। আর বাকি ২০% অন্যান্য কিছু কৌশল বা পরিবেশের উপর নির্ভর করে। উচ্চতা বৃদ্ধির মূল উপাদান হচ্ছে গ্রোথ হরমোন। গ্রোথ হরমোন এমন একটি পদার্থ যা শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্টি হয়।

আজকের ফিচারে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে আপনি আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনাকে অবশ্য বেশ ধৈর্য ধরে অনেক দিন মেনে চলতে হবে এসব নিয়ম। তবেই আপনি সন্তোষজনক একটি ফল পাবেন।

ঘুম: প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হওয়ার সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে ঘুম। ঘুম আমাদের মানসিক ও শারীরিক শান্তির পাশাপাশি ঘুমের সময় দেহ গঠনের টিস্যুগুলো কাজ করে। পরিমিত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম নেয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে শরীর গঠনের হরমোন প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপন্ন হতে থাকে। এরফলে আমাদের উচ্চতা ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায়। তাই দৈনিক ৮ – ১১ ঘণ্টা ঘুম ও বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করবেন।

সাঁতার: পানি আমাদের শরীরের জন্য বেশ অপরিহার্য একটি উপাদান।গবেষকেরা জানান,  আমাদের শরীর যথোপযুক্ত ভাবে কাজ করবে তখনই যখন আপনি পরিমিত পরিমাণে পানি পান করবেন। আভ্যন্তরীণ ভাবে তো বটেই, বাহ্যিক ভাবেও শরীরের জন্য পানি খুব প্রয়োজনীয়। সাঁতার কাটলে আপনার শরীর ফ্লেক্সিবল তো হবেই, সেইসঙ্গে পেশীগুলো প্রসারিত হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তাই সাঁতার প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হওয়ার অন্যতম আরেকটি উপায়। 

ব্যায়াম: নিয়মি ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা কিনা গ্রোথ হরমোন বাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে। ফলে উচ্চতা দ্রুত বাড়ে। সপ্তাহে ৩ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। তবে শুরুতেই কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম বা হাল্কা দৌড়ে শরীরকে ব্যায়াম করার উপযোগী করে নিতে ভুলবেন না।

উচ্চতা বাড়ানোর জন্য ঝুলন্ত ব্যায়াম বেশ উপকারী শরীরের উর্ধাঙ্গের পেশী প্রসারিত করতে এটি বেশ কার্যকরী। অনেকভাবে আপনি এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। একটি পোলে দু’পা জড়িয়ে হাত নিচের দিকে দিয়ে এই এক্সারসাইজটি করতে পারেন। আপনি এ ব্যায়াম প্রতিদিন করলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট দূর হয়ে যাবে। আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট দূর হয়ে গেলে উচ্চাতাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। 

প্রশ্বাস নিন গভীরভাবে। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে প্রশ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়।

এছাড়াও, দড়ি লাফ যেমন দারুণ মজার একটি খেলা তেমনি এটি কিন্তু উচ্চতা বাড়াতেও বেশ সাহায্যকারী। লাফ দিতে হয় দড়ি লাফ খেলার জন্য। এতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। শরীরের প্রতিটি পেশী সক্রিয় হয়ে যায়। যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

খাবারস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। নিম্নে তারই একটি তালিকা দেয়া হল।

  • দুধ – দুধে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বাড়ানোর সহায়ক উপাদানগুলোর একটি।
  • ডিম – ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং রিবোফ্ল্যাবিন। যা হাড়ের উন্নয়ন ও  শক্তিশালী করণে কাজ করে।
  • ফল – মাল্টা, পেপে, আম, ইত্যাদিতে রয়েছে ভিটামিন, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ফোলেট। যা স্বাভাবিকভাবেই উচ্চতা বাড়ায়।
  • বাদাম – বাদামে রয়েছে খনিজ ভিটামিন যা দেহের টিস্যু মেরামত এবং নতুন হাড় ও মাংসপেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • গাজর – গাজর হাড়ে ক্যালসিয়াম সংরক্ষণ এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে উৎসাহ যোগায়। প্রতিদিন অন্তত ৩টি করে গাজর খেলে দেহের উচ্চতা বাড়ে।
  • সয়াবিন – সয়াবিন হাড় এবং টিস্যুর ঘনত্ব বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৫০ গ্রাম সয়াবিন গ্রহণ করলে, উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
  • শালগম – শালগমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পুষ্টি এবং খাদ্য আঁশ। যা আমাদের দেহের বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • মটরশুটি – নানা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা উচ্চতা বাড়ায়। এছাড়া মটরদানা জাতীয় খাদ্যে কয়েকটি উচ্চতা বৃদ্ধির হরমোনও আছে।
  • ব্রোকলি – ব্রোকলিতে রয়েছে উচ্চহারে ভিটামিন সি, আঁশ এবং আয়রন। যা দেহের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং দৈহিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোনের উদ্দীপনা বাড়াতে সহায়ক।
  • কালো তিল+কাজুবাদাম+অশ্বগন্ধা+দুধ – অশ্বগন্ধা এইচজিএইচ হরমোন নিঃসরণের হার ঠিক রাখে। আর এ কারণেই এটি উচ্চতা বৃদ্ধিতে এতটা কার্যকর। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ঘনত্ব বাড়াতেও কার্যকর। কালো তিলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি ও আয়রন। এটি ক্যালসিয়ামেরও ভালো উৎস। হাড়ের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক এসব উপাদান। কাজুবাদামে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম যেগুলো হাড়ের বৃদ্ধিতে জরুরি খনিজ উপাদান। আর এই সবগুলো উপাদান দুধের সঙ্গে মিলে উচ্চতা বাড়ায়। প্রতিদিন রাতে দুধের সঙ্গে এক চামচ অশ্বগন্ধা, কাজুবাদাম এবং কালো তিলের পাউডার মিশিয়ে পান করলে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।

নিয়াসিন: নিয়াসিন হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন। সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি থেকে ৫০০ গ্রাম নিয়াসিন সেবন করা মানুষের লম্বা হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়। মানবদেহের বৃদ্ধির ৮০% বংশগত হলেও বাকি ২০% প্রভাব থাকে আপনার পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাসে ও আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপর। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়াসিন সেবনের মাধ্যমেও উচ্চতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বদভ্যাস ত্যাগ: শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন বদভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। মাত্রাতিরিক্ত চা বা কফি কোনটাই খাবেন না। ধুমপান যেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহের হরমোন গঠনও কমিয়ে ফেলে। যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। বোতলজাত জুস এবং কোমলপানীয়ও আপনার শরীরের একইভাবে ক্ষতি সাধন করে।

পরিশেষে, উচ্চতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips
মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips
ধূমপান ত্যাগ করুন বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে – Bangla Health Tips

 লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

দাঁত ব্যথা দূর করার সহজ কিছু পদ্ধতি – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: সঠিক নিয়মে দাঁতের যত্ন না নিলে প্রায় আমাদের সবারই দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। দাঁতে সমস্যা মানেই শুরু হয়ে যাওয়া  দাঁত ব্যথা। দাঁত ব্যথার প্রধান কারণ হলো ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় রোগ। আবার দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন ধরণের সমস্যার কারণেও হতে পারে এ দাঁত ব্যথা। যেমন- ক্যাভিটি, মাড়িতে ইনফেকশন, রক্ত ক্ষরণ কিংবা আঘাতের কারণে দাঁতে ফাটল ইত্যাদি। দাঁতের ব্যথা হলে দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু সেটা সম্ভব না হলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যথা কমাতে পারেন। আসুন জেনে নেই সেই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে।

বরফ: বরফের টুকরো ব্যথা উপশমে বেশ কার্যকরী। এজন্য পাতলা সুতি কাপড়ে একটি ছোট বরফের টুকরো নিয়ে পেঁচিয়ে নিন। যেখানে দাঁতে ব্যথা সেখানে গালের কাছে নিয়ে কয়েক মিনিট ধরে রাখুন। এতে ব্যথা অনেকাংশেই কমে যাবে। তবে, আপনার যদি এক্সপোসড নার্ভের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ঠান্ডার সংস্পর্শে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।

রসুন: রসুনের এন্টিবায়োটিক উপাদান ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকরি উপাদান দাঁতের সংক্রমণ জনিত ব্যথায় দারুন কাজে দেয়। একটি রসুন ভেঙ্গে তাতে কিছুটা লবণ মাখিয়ে আপনার আক্রান্ত দাঁতের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান দাঁতের জীবাণু নষ্ট করে দাঁতের ব্যথা উপসম করে। প্রথমে দাঁতের ব্যথার জায়গাটা খুঁজে বের করুন। এবার একটি পেঁয়াজ আক্রান্ত জায়গার কাছাকাছি নিয়ে চাবান। আর যদি চিবোতে না পারেন এক টুকরা পেঁয়াজ কেটে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় রাখুন, দেখবেন ব্যথা কমে যাবে।

দারুচিনি: দারুচিনিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর ব্যথা কমানোর উপাদান রয়েছে। শুধু ব্যথা কমানোই নয়, দারুচিনি দাঁতকে আরো মজবুত করে তোলে। এইসব কারণে দারুচিনি দাঁত আর মাড়ির জন্য খুবই উপকারী। দাঁত ব্যথা করলে একটা দারুচিনির টুকরো নিয়ে যে অংশে ব্যথা হচ্ছে সেই অংশের উপর রাখুন, ধীরে ধীরে ব্যাথা কমে যাবে।

ভিনেগার: দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে ভিনেগার খুবই উপকারী। অল্প পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার অথবা সাদা ভিনেগার তুলায় নিয়ে ব্যথার জায়গায় কয়েক মিনিট চেপে ধরে রাখুন। এতে ব্যথা অনেকাংশেই কমে যাবে।

বেকিং সোডা: এক টুকরো তুলা একটু পানিতে ভিজিয়ে সোডা লাগিয়ে নিন এবং দাঁতে মাড়িতে ঘষে ঘষে লাগান। অথবা, এক চা চামচ বেকিং সোডা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন কেমিক্যাল বিহীন মাউথওয়াশ, সেটা দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন।

উষ্ণ লবণ পানি: একগ্লাস বেশ গরম পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন দাঁতের শিরশির ভাব ও ব্যথা কমে যাবে। কেননা গরম পানি আর লবণের কার্যকারিতায় দাঁতের টিস্যুগুলো সচল হয়ে উঠে আর সব জীবাণু তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

ব্যাবহৃত টি ব্যাগ: চা পাতায় রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান যা খুব দ্রুত দাঁতের ব্যথা উপশম করে। তাই চা বানানোর পর টি ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে গরম থাকা অবস্থায় ব্যথা আক্রান্ত জায়গায় টি ব্যাগটি চেপে ধরে রাখুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

গোলমরিচ ও লবন: সমপরিমাণ কালো গোলমরিচের গুঁড়া আর লবন নিন। সামান্য পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণের জন্য এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। দিনে কয়েকবার এই পেস্টটি লাগিয়ে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাতের ব্যাথা কমে যাবে। এছাড়াও এই মিশ্রনটি সেনসিটিভ দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। কেননা এরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যানালজেসিক গুণ সমৃদ্ধ।

লবঙ্গ ও অলিভ অয়েল: দুইটি লবঙ্গ পিষে তা অল্প অলিভ অয়েল কিংবা যেকোনও ভেজিটেবল অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগান। লবঙ্গ ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে।

পরিশেষে, এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করেও যদি দাঁত ব্যথা না কমে তাহলে সামান্যতম দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অন্তত ৬ মাস পর পর ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত। তাহলে দাঁতে যদি সামান্য কোনো সমস্যাও থাকে, সেগুলো নিমিষেই দূর করা সম্ভব হয়। আর ভবিষ্যতে দাঁতের বড় রকমের সমস্যায় পড়তে হয় না।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips
মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips
ধূমপান ত্যাগ করুন বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে – Bangla Health Tips

 লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ধূমপান ত্যাগ করুন বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: ধূমপান স্বাস্থ্যহানি ঘটায় এ কথা সবারই জানা। ধূমপানের ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগের আশঙ্কাসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব কথা জেনেও অনেকে ধূমপান ত্যাগ করতে ব্যর্থ হন। অনেকে ধূমপান ছাড়ার ঘোষণা দিয়েও ছাড়তে পারেন না। গবেষণায় বলা হয়, তীব্র মানসিক ইচ্ছা এবং জীবনযাপনের কিছুটা পরিবর্তন আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে নিম্নে দেয়া পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাতে হবে। আসুন দেখে নেই পদ্ধতিগুলো।

মানসিক চাপ: মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। অনেকে মানসিক চাপের ফলে ধূমপান করেন। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ দূর করতে নিয়মিত ম্যাসাজ করান অথবা মনকে হালকা করতে গান শুনুন। যোগ ব্যয়ামও করতে পারেন। এগুলো আপনাকে চাপমুক্ত করে ধূমপান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

ব্যক্তিগত যুক্তি: ধূমপান ছাড়তে শক্তিশালী ব্যক্তিগত যুক্তি দাঁড় করান। ধূমপান ছাড়ার আগে অবশ্যই জানতে হবে কেন ধূমপান ছাড়তে চান আপনি। একটি ব্যক্তিগত শক্তিশালী কারণ অবশ্যই থাকা দরকার যা আপনাকে ধূমপান ত্যাগে সাহায্য করবে। হয়তো নিজেকে সবসময় তরুণ হিসেবে দেখতে চান, আপনার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে বেশি দিন সুস্থ্য সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে চান অথবা আপনার ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। এসব ভেবে একটি শক্তিশালী কারণ দাঁড় করান এবং সেটি ভেবে ধূমপান করা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন।

সবার সহায়তা: আপনি ধূমপান বন্ধ করতে চাইছেন বিষয়টি বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য এবং অফিসের সহকর্মীদের জানান। তাদের বলুন আপনাকে উৎসাহিত করতে। হয়তো কোনো পার্টিতে গিয়ে একটি সিগরেট ধরিয়েই ফেললেন তখন আশপাশের লোকজন নিষেধ করলে বিষয়টি কাজে লাগতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, আমাদের বিভিন্ন বাজে অভ্যাস বর্জনে মিলিত আচরণগত চিকিৎসা বেশ কাজে আসে।

টেক্সট মেসেজ: পশ্চিমা কিছু দেশে এমন সুবিধে আছে যে যারা ধূমপান ছাড়তে আগ্রহী তাদের ফোনে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা এবং ধূমপানের অপকারিতা সম্বলিত টেক্সট মেসেজ আসবে। আপনি যা করতে পারেন তা হলো, আপনার প্রিয় মানুষটিকে বলতে পারেন আপনাকে নিয়মিত এরকম মেসেজ পাঠাতে। তাহলে আপনার মনে একটু হলেও ধূমপান থেকে দূরে থাকার তাগিদ থাকবে।

চুইঙ্গাম চিবানো: যখন আপনি সিগারেট ছাড়তে চাইবেন তখন আপনার হতাশ ও বিষণ্ণ লাগতে পারে। তাই সিগারেটের বিকল্প কিছু ভাবুন। গবেষণায় বলা হয়, সিগারেটের বিকল্প হিসেবে নিকোটিন গাম, লজেন্স খেলে বা চুইঙ্গাম চাবালে বদ অভ্যাস এড়ানো কিছুটা সহায়ক হতে পারে। সিগারেট ছাড়ার জন্য এখন বাজারে কিছু চুইঙ্গাম পাওয়া যায় যেগুলো বেশ কার্যকর। সেগুলো খেয়ে দেখতে পারেন।

শারীরিক পরিশ্রম: শারীরিক পরিশ্রম আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করবে। যখন ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে হাঁটা শুরু করুন বা জগিং করতে পারেন। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা চলে যেতে পারে। এর ফলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরিও দূর হবে।

ঠাণ্ডা স্থান পরিহার: আপনি হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ধূমপান ত্যাগ করবেন। কিন্তু ঠাণ্ডা স্থানে বেশিক্ষণ থাকলে সেটি হয়তো আবার মাথা চাড়া দিতে পারে। গবেষণায়  দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করেও ছাড়তে পারেন না কেবল নিকোটিনের প্রভাবে। কেননা সিগারেটের ভেতর যে নিকোটিন থাকে সেটি নেশা তৈরি করে। মস্তিস্ক একপর্যায়ে নিকোটিন নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বার বারই গ্রহণ করতে চায়। ঠাণ্ডা স্থানে বেশিক্ষণ থাকলে নিকোটিন গ্রহণের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ঠান্ডা স্থান পরিহার করুন।

ই-সিগারেট ব্যাবহার: উপরের পদ্বতিগুলো অবলম্বন করেও যদি আপনার ঠোঁটের মাঝে একটি ক্যান্সার স্টিকের অভাব অনুভব করেন, তাহলে একটি ই-সিগারেট নিয়ে নিন। ই-সিগারেট হল এক ধরণের যন্ত্র যেটা শরীরে ধূমপানের অভ্যাস জনিত নিকোটিনের চাহিদা পূরণ করে কিন্তু তামাকের অন্যান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমায়। মূল উদ্দেশ্যে ই-সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপানের আসক্তি থেকে সরে আসা এবং এক পর্যায়ে এই ই-সিগারেটও ছেড়ে দেয়া।

পরিশেষে, ধূমপায়ীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন অবশ্যই সফল হবেন।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips
মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips

 লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

বিদায় ব্ল্যাকহেডস – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা কমবেশি প্রায় আমাদের সবারই দেখা দেয়। আমাদের স্কিনের পোরস গুলোতে প্রতিনিয়তই ময়লা জমে। এই ময়লা ঠিক মতো পরিষ্কার না করা হলে এর উপর আরও বেশি তেল ময়লা জমতে থাকে। এক সময় তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইযড হয়ে ব্ল্যাকহেডস এর রূপ নেয়। শুরু থেকে সচেতন না হলে এটি এক রকম স্থায়ীই হয়ে বসে যায়, অপরিচ্ছন্ন করে তোলে আপনার স্কিন। স্কিন তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়, হয়ে পড়ে অমসৃণ। এমনকি ঐ স্থানে মেকআপ করলেও তা ঠিকমতো বসতে চায় না। সাধারণত মুখ ও নাকের ত্বকের লোমকূপে কালো হয়ে জমে থাকে ব্ল্যাকহেডস। অনেকের কানে, পিঠে, ঘাড়েও ব্ল্যাকহেডস দেখা দিতে পারে। আজ  ব্ল্যাকহেডস ওঠানোর কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

মধু: ব্ল্যাকহেডস ওঠানর জন্য মধু খুবই আদর্শ। দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু ২:১ পরিমাণে মিশিয়ে ব্ল্যাকহেডস এর উপর ১৫ – ২০ মিনিট রাখুন। এর পর ২ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। একই সাথে এটি ময়েশ্চারাইজার আর স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডস অনেকটাই কমে আসবে।

লবণ: রিফাইন্ড লবণ নয়, একটু মোটা দানাদার লবণের কথা বলছি। এটি যেমন চটজলদি ব্ল্যাকহেডস এর স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে তেমনি অয়েলি স্কিন এর অতিরিক্ত অয়েল কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। খুব সামান্য পরিমাণ লবণ নিন (২ চিমটি) এতে কয়েক ফোঁটা পানি যোগ করুন। এরপর ব্ল্যাকহেডস এর ওপর মাসাজ করুন লবণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত। এর পর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তবে পুরো মুখে এটি ব্যবহার করবেন না, শুধু মাত্র ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত অংশের জন্য এই স্ক্রাবটি ব্যাবহার করুন।

টমেটো: ব্ল্যাকহেডস দূর করতে জাদুর মতো কাজ করে টমেটো। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টমেটোর শ্বাস ত্বক লাগিয়ে রাখুন, সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। টমেটোর ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান ব্ল্যাকহেডস শুকাতে সাহায্য করে। এটা খুব ভালো এক্সফলিয়েটর এবং এর অ্যাসিডিক উপাদান লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া এড়াতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি মুখে ব্যবহার করলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ময়লা ও ব্ল্যাকহেডস ওঠাতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ গ্রিন টির শুকনা পাতা পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন একবার ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডস অনেকটাই কমে আসবে।

দারুচিনি: এক টেবিল-চামচ লেবুর রস ও দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চাইলে এতে এক চিমটি হলুদও দিতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দারুচিনি লোমকূপ টানটান করতে সাহায্য করে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। লেবুর রসের ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান ব্রণ কমায়। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস দুটোই দূর করে।

টুথপেস্ট: অনেকদিনের জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা বেশ কঠিন ব্যাপার। সেক্ষেত্রে সামান্য সাদা টুথপেস্ট নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। এরপর নরম একটি টুথ ব্রাশের সাহায্যে আস্তে আস্তে স্ক্রাব এর মতো করে ঘষতে থাকুন। ত্বকের মরা চামড়া উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্ল্যাক হেডস গুলোকে নরম করে ফেলে। ব্রাশ দিয়ে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৫ মিনিট গরম পানির ভাপ নিন। এতে পোরস গুলো খুলে যাবে। এরপর আবারো ব্রাশ দিয়ে ঘষুন, দেখবেন খুব সহজেই ব্ল্যাক হেডস গুলো উঠে আসবে। সপ্তাহে ১ বারই যথেষ্ট।

লেবু চিনির স্ক্রাব: ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এটি। মাঝারি সাইজের একটা লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত স্থানে মাসাজ করুন চিনি গলে যাওয়া না পর্যন্ত। এর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার করুন। শুধু  ব্ল্যাকহেডস দূর করাই নয়, স্কিনের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতেও এর জুড়ি নেই।

ডিমের সাদা অংশ: মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। সম্পূর্ণ শুকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও ব্ল্যাকহেডস দূর হবে। ডিমের সাদা অংশ লোমকূপ টান টান করতে এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। মধু ত্বক গভীর থেকে নরম ও কোমল করে।

পরিশেষে, আপনার ব্যবহারের বালিশের কভার, তোয়ালে সবসময় পরিষ্কার রাখুন।  ব্ল্যাকহেডস, পিম্পল, খুশকি সব কিছুর প্রকোপ থেকেই একেবারে না হোক কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী উপরের যেকোনো পদ্ধতি বেছে নিন। নিয়মিত করলে ব্লাকহেডস থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেণ।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips
মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips

 লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Military Job Circular 2018

বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ভাটিয়ারী, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রামে জনবল নিয়োগে জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি ৫টি পদে ১০ জনকে নিয়োগ দিবে। আগ্রহ  ও যোগ্যতা থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারেন।  সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত দেওয়া হল।

Bangladesh Military Academy Job Circular 2018

পদের নাম : উপ-সহকারী প্রকৌশলী
বিভাগ: সিভিল
পদ সংখ্যা : ০১ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা :ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
বেতন : ২৫,৫০০ টাকা

পদের নাম : উপ-সহকারী প্রকৌশলী
বিভাগ: ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স
পদ সংখ্যা : ০৩ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা :ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং।
বেতন : ২৫,৫০০ টাকা

পদের নাম : উপ-সহকারী প্রকৌশলী
বিভাগ: মেকানিক্যাল
পদ সংখ্যা : ০৪ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা :ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
বেতন : ২৫,৫০০ টাকা

পদের নাম : ল্যাব সহকারী
বিভাগ: কম্পিউটার সাইন্স
পদ সংখ্যা : ০১ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি এবং ৬ মাস মেয়াদী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট।
বেতন : ১৫,৭০০ টাকা

পদের নাম : ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট
বিভাগ: মেকানিক্যাল
পদ সংখ্যা : ০১ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি এবং ৬ মাস মেয়াদী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট।
বেতন : ১৩,৯০০ টাকা

আবেদনের ঠিকানা: আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র  কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ভাটিয়ারী, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম বরাবর পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: আবেদন করা যাবে  ২৫ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।

বিস্তারিত জানতে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন:

নতুন চাকরির খবর সবার আগে পেতে


সরকারি বেসরকারি সকল চাকরির খবর পড়তে আমাদের চাকরির খবর পেজে বিজিট করুন।

Post Related Things: bd job today , New job circular, bd recent job circular, Job Circular সরকারী চাকরির  খবর,চাকরির খবর প্রথম আলো,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ ২০১৮,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2018,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ ২০১৮,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ 2018,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ আবেদন ফরম,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির খবর,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জব,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জব সার্কুলার,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা সেনানিবাস,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি,চাকরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,new চাকরির খবর,চাকরির খবর paper,চাকরির খবর পত্রিকা, চাকরির ডাক পত্রিকা, চাকরির বাজার পত্রিকা,সাপ্তাহিক চাকরির পত্রিকা

‘হাসিনা: অ্যা ডটার’স টেল’ – Hasina – A Daughter’s Tale

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায় মুক্তি প্রতীক্ষিত একটি চলচ্চিত্রের ট্রেলার! দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ড যার ব্যাপ্তি! চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও রাজনীতিকরাও তাদের টুইটার, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ট্রেলারটি !

কী সেই চলচ্চিত্র? যার ট্রেলার ছুঁয়ে গেল সর্ব স্তরের মানুষকে? বলা হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ চলচ্চিত্রটির কথা। যে ডকু- ড্রামাটির ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছিল জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বরে। ট্রেলার প্রকাশ পাওয়ার পর পরই চারদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে।

সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং অ্যাপলবক্স ফিল্মের দীর্ঘ ৫ বছরের সহযোগীতায় নির্মিত এই ডকু-ড্রামা চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু। এছাড়াও চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আছেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনায় আছেন নবনীতা সেন এবং সংগীতে আছেন ভারতের বিখ্যাত মিউজিশিয়ান দেবজ্যোতি মিশ্র। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মাত্র পৌণে তিন মিনিটের ট্রেলার দিয়েই তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছেন।

নতুন খবর হলো ৭০ মিনিট ব্যাপ্তির বহুপ্রতীক্ষিত ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ ডকু- ড্রামা চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর। চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলোকে যা তুলে ধরা হয়েছে তার নিজস্বতায়। একটি স্বাধীন ও তাৎপর্যময় দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন একজন অনন্য নায়কের জীবনের আরেক অধ্যায়, যা তার একান্ত ব্যক্তিগত হয়েও একটা জনপদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

চলচ্চিত্রটির পরিচালক রেজাউর রহমান খান পিপলু বলেন ‘‘আমি এই চলচ্চিত্রটি করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কাজ করিনি। আমি একজন সাধারণ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যাকে নিয়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি এর চেয়ে বেশি কিছু ভাবার প্রয়োজনও নেই। চলচ্চিত্রটিতে আমি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে যাইনি। তিনিও আমাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি আমাকে স্পষ্ট করে বলেছেন, চলচ্চিত্রটিকে আমি যেভাবে দেখতে চাই, সেভাবেই যেন কাজটা করি। তাছাড়া কাজটি যেহেতু একজন পলিটিক্যাল ফিগার নিয়ে, এটার ইতিহাস নিয়ে বেশ রিসার্চ করতে হয়েছে। এই রিসার্চ করতে আমাদের অনেক সময় চলে গেছে। এখানে শেখ হাসিনাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি সবাই চলচ্চিত্রটি দেখবেন।’’

তিনি আরও বলেন ”ট্রেলারটিতে কিন্তু আমারা শেখ রেহানার কণ্ঠ শুনেছি। আমি ইচ্ছা করেই ট্রেলারটিতে শেখ হাসিনার কণ্ঠ রাখিনি। এমনকী তাকে পুরোপুরি দেখাইওনি। তার উপস্থিতি এবং কণ্ঠ দর্শক শ্রোতাদের জন্য আরও বড় চমক হয়ে থাক। আপনারা হয়ত দেখেছেন, ট্রেলারটিতে বিদেশের কিছু দৃশ্য দেখা গেছে। আসলে ১৯৭৫ এর পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। সেই সময়ের কথা বলতেই বিদেশের দৃশ্য রাখা হয়েছে।”

গত ২১ অক্টোবর রাতে ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ চলচ্চিত্রটির একটি গান প্রকাশ পায়। ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না ফুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা’ শিরোনামের। গানটির সঙ্গে দেখানো হয়েছে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন দৃশ্য। কিন্তু কেন এই গানটিই ব্যবহার করা হল? উত্তর পাওয়া যায় গানের প্রথম অংশেই। নেপথ্য কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন ‘‘বাবা করাচি থেকে ঢাকা ফিরে এলেন, তখন এই গানটা ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না ফুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা’ বারবার শুনে যাচ্ছেন, বারবার শুনে যাচ্ছেন।’’

‘আমার সাধ না মিটিল’ গানটি নতুন করে সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার দ্বেবজ্যোতি মিশ্র। গানটির মধ্যে তিনবার শেখ হাসিনার কণ্ঠ ব্যাবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার যখন শেখ হাসিনার কন্ঠ ব্যাবহৃত হয় তখন তিনি বলছেন ‘‘টুঙ্গিপাড়া আমার খুবই ভালো লাগে, ভীষণ ভালো লাগে, এখানে এলেই আমার মনে হয় আমি মাটির কাছে ফিরে এসেছি, আমি আমার মানুষের কাছে ফিরে এসেছি, আমার তো মনে হয় টুঙ্গিপাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।’’

ভিডিওটির একদম শেষ ভাগে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন তার নিজেকে নিয়ে। তিনি বলেছেন ‘‘আমি আমার কোনো স্মৃতি রাখতে চাই না, এগুলো অপাংক্তেও, প্রয়োজন নাই, এটা হলো একদম রূঢ় বাস্তবতা।’’

উল্লেখ্য, ৭০ মিনিটের এই ডকু-ড্রামা চলচ্চিত্রটিতে একেবারেই পাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের বাবাকে কীভাবে দেখেছেন, কেমন ছিল সেই দিনগুলো, সেগুলোই দেখতে পাবেন। এখন শুধু অপেক্ষা পুরো চলচ্চিত্রটি দেখার। ১৬ নভেম্বরে রাজধানী ও চট্টগ্রামে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও দেখানো হবে চলচ্চিত্রটি।

Hasina – A Daughter’s Tale | Official Trailer 

শীতে ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: এসে গেছে শীত মৌসুম, শুষ্ক হয়ে উঠেছে আবহাওয়া। একই সাথে শুষ্ক হয়ে উঠছে আপনার ত্বক। শীতে ত্বক শুকিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাবার কারণে প্রকৃতির আর সব কিছুর মতো ত্বকের জলীয় অংশ উড়ে বাতাসে মিশে যায়। শুষ্কতার পরিমাণ বেড়ে গেলে তা ত্বকে সৃষ্টি করে নানা সমস্যা। সৌন্দর্যেরও হানি ঘটে ব্যাপক। শীতে ত্বকের শুষ্কতা মারাত্মক রূপ নেয়ার আগে কিছুটা যত্ন নিলেই ত্বককে কোমল রাখা সম্ভব। নিচে তেমনই কিছু পরামর্শ দেয়া হল।

ঠোঁটের পরিচর্যা: শরীরের ত্বকের শুষ্কতার সাথে পাল্লা দিয়ে ঠোঁটের শুষ্কতা এ সময়ে মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। অনেকে এ সময়ে জিভ দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজাতে থাকেন, যা ঠোঁটের কোমল ত্বকের জন্য আরো ক্ষতি ডেকে আনে। সবচেয়ে ভালো হয়- ঠোঁটে বারবার ভেসলিন অথবা মেরিল পেট্রো-লিয়াম জেলি মাখলে। যদি ভেসিলিন শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়, তাহলে গাঢ় করে ভেসলিন মাখতে হবে। ঠোঁটের ওপরিভাগের পাতলা শুষ্ক ত্বক কখনো টেনে তুলে আনার চেষ্টা করবেন না, তাতে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।

সাবান কম ব্যবহার: শীতে গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করাই ভালো। কারণ সাবান ত্বকে শুষ্কতা সৃষ্টি করে। শীতে ত্বক প্রাকৃতিক ভাবেই শুষ্ক হয়ে যায়। নিয়মিত সাবান ব্যাবহারের ফলে শুষ্কতার মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সুতরাং গোসলে কিংবা হাত-মুখ ধুতে সাবান যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করবেন। যদি সাবান ব্যাবহার করতেই হয় তাহলে অবশ্য গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন।

গ্লিসারিনের ব্যাবহার: শীতে ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে গ্লিসারিন নিয়মিত মাখতে পারেন। গ্লিসারিন হলো সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজার। একভাগ গ্লিসারিনের সাথে দু’ভাগ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। গ্লিসারিনের আঠা-আঠা ভাবটা দূর করার জন্য গ্লিসারিন মাখার পর একটা ভিজে তোয়ালে বা কাপড় হালকা করে ত্বকে চেপে ধরলে আঠাভাব চলে যাবে।

গরম পানি ব্যাবহার: গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কারণ গরম পানি ত্বকের শুষ্কতা আরো বাড়িয়ে তোলে। যদি গরম পানি দিয়ে গোসল করতেই হয় তাহলে অবশ্যই গোসলের পরে ত্বকে ভেজা ভাব থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। হাতে, পায়ে, মুখে এবং পুরো শরীরে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। মনে রাখতে হবে, ত্বক একেবারে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজার মাখলে কাজ হবে না। ত্বকে ভেজাভাব থাকতেই ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যাবহার: শীত আসছে বলে ভাববেন না রোদে বের হওয়ার পূর্বে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যাবহারের কোন প্রয়োজন নেই। রোদে বের হওয়ার পূর্বে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম মেখে বের হতে হবে। শীতের রোদ মিষ্টি আমেজ সৃষ্টি করলেও ত্বকের জন্য তা ক্ষতিকর। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের সমূহ ক্ষতি করে। ত্বকের ক্যান্সার ঘটা বিচিত্র কিছু নয়। তাই ত্বককে রক্ষা করতে হলে সানপ্রোটেকটিভ ফ্যাক্টর বা এসপিএফসমৃদ্ধ ক্রিম মেখে বের হওয়াই মঙ্গলজনক। বিভিন্ন মাত্রার এসপিএফসমৃদ্ধ ক্রিম বা লোশন রয়েছে। তবে গবেষকদের মতে এসপিএফ-১৫ সমৃদ্ধ ক্রিম ত্বকের জন্য নিরাপদ।

অলিভ অয়েল ব্যাবহার: শীতে শরীরের ত্বক ফেটে যায়। সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন চর্মরোগের। এ অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে ঘুমানোর পুর্বে পুরো শরীরে অলিভ অয়েল মাখলে ত্বকের শুষ্কতা কেটে যাবে এবং ত্বক সজীব থাকবে। ত্বক ফেটে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে এবং অলিভ অয়েল ব্যবহারে তেমন উন্নতি না ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বিলম্ব করবেন না।

পরিশেষে, অনেকে ত্বক সুন্দর রাখার জন্য ত্বকে বিভিন্ন সবজি ও ফলের রস মেখে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ত্বকে এ ধরনের সবজি বা ফলের রস মাখলে সত্যিকার অর্থে কোনো কাজ হয় না, উপরন্ত ত্বকে লেবুর রস মেখে বাইরে বেরোলে ত্বকের রঙ আরো কালো হয়। তাই ত্বকে সবজি কিংবা ফলের ব্যাবহারের পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips
মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips

 লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যাথা থেকে মুক্তি – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: মাইগ্রেনের ভয়ানক মাথাব্যাথার সাথে যারা পরিচিত তারাই জানেন এটি কি ধরণের যন্ত্রণাদায়ক। মাইগ্রেনের ব্যাথা কোনও সাধারণ মাথাব্যাথা নয় ৷ যা একটি ক্রোসিন বা স্যারিডনেই কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে৷ মাইগ্রেন হল একধরণের নিউরোলজিকাল সমস্যা ৷ এর ফলে তীব্র মাথা ব্যাথার পাশাপাশি দেখা যায় বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, চোখে ব্যাথা, এমনকী মুখের কিছু অংশ যেমন চোয়াল পর্যন্ত ব্যাথা হতে পারে৷ এই ব্যাথা কয়েক ঘণ্টা থেকে প্রায় তিন চার দিন পর্যন্তও ভোগায়।

মাইগ্রেনের ব্যাথা সৃষ্টি হওয়ার কারণ:

খালি পেট: খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ- খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এটি মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই খালি পেটে না থাকার চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ: যারা অনেক বেশি মানসিক চাপ নিয়ে একটানা কাজ করতে থাকেন, নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না। তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিল্যাক্স হবে।

অতিরিক্ত শব্দ: অতিরিক্ত শব্দ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হতে পারে। প্রচণ্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দুদিন টানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশংকা থাকে। তাই সহনীয় মাত্রায় গান শোনার অভ্যাস করুন।

অতিরিক্ত ঘুমানো: মাত্র এক দিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের ওপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পাড়ে। যেমন, যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমোন, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন অতিরিক্ত না ঘুমানোর।

চা পান বন্ধ করে দেয়া: সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করতে অভ্যস্ত। তারা হুট করে সেই অভ্যাস ত্যাগ করলে বা আপাতভাবে বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই হঠাৎ করে চা পান বন্ধ করে দিবেন না।

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার: প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়াতে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়, যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। এর ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এ ভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
মাইগ্রেনের ব্যাথা থেকে মুক্তির দারুণ কিছু উপায়:
হার্বাল চা: হার্বাল চা মাথা ব্যাথার পক্ষে খুবই উপকারী৷ হার্বাল চায়ে আঁদা কুচি, লেবু দেওয়া থাকে৷ এর ফলে ব্যাথার প্রকোপ কম থাকে৷ আবার মাইগ্রেনের ফলে যে বমি ভাব তৈরি হয় তা কম করতেও সাহায্য করে এই উপাদানগুলি৷
বরফ প্যাক: মাথা ব্যাথা বেশি হলে একটি প্লাস্টিকে কিছু বরফের টুকরো নিয়ে মাথায় ব্যাথা  জায়গায় দিয়ে রাখতে পারেন৷ এতে মাথা ব্যাথা কম হবে৷ বরফ আপনার শিরার স্ফীতি কম করে৷ এতে ব্যাথা কম হতে পারে৷
বিশ্রাম পদ্ধতি: মাথা ব্যাথার প্রকোপ শুরু হলে আপনার মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন৷ চিন্তা মুক্ত থাকুন৷ এর জন্য প্রয়োজনে মেডিকেশন, যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন৷
ভিটামিন ‘বি২’: ভিটামিন বি২ এর পরিমাণ শরীরে বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যাথা কম হয়৷ ৪০০ এম জি ভিটামিন বি২-র ট্যাবলেট মাইগ্রেন কম করতে সাহায্য করে৷ এছাড়া মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদাম, এসবে ভিটামিন বি২ এর পরিমাণ বেশি থাকে৷ তাই চেষ্টা করুন বেশি বেশি মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহন করার।

পরিশেষে, মনে রাখা উচিত সব মাথা ব্যাথা মানেই কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যাথা নয়। দৃষ্টি স্বল্পতার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেকাংশেই মাইগ্রেনের মারাত্মক ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips

হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয় – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: করনারি আর্টারি নামে একটি ধমনি আছে সেই ধমনির মাধ্যমেই হার্টে রক্ত সঞ্চালিত হয়। মানুষ যখন পূর্ণ বয়স্ক হয়, এই করনারি আর্টারিগুলোর ভিতর চর্বি জাতীয় একটি প্রলেপের মতো পড়ে এগুলো বন্ধ করে দেয়। আর তখনই ঠিক হৃদরোগের উদ্ভব হয়। হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল সে ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। এ রোগে একবার আক্রান্ত হলে সারাজীবন এ মারাত্মক ব্যাধি লালন করতে হয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা সম্ভব।

হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ: হৃদরোগের জন্য অনেক কারন দায়ী। যেমন- বয়স, লিঙ্গ, ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ, পারিবারিক ইতিহাস, স্থূলতা, স্বল্প শারীরিক পরিশ্রম, খাবার দাবারে অসচেতনতা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ লিপিড, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন, নিয়মিত হাঁটা বা শারীরিক পরিশ্রম, খাবার দাবারে একটু সচেতন হলে এবং ঊচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ লিপিড, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস করা যেতে পারে।

যাদের হৃদরোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি: প্রজননে সক্ষম নারীর তুলনায় পুরুষদের হৃদরোগ হবার ঝুঁকি বেশি। প্রজননের সময়ের পরে, নারী ও পুরুষের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা সমান। যদি কোন নারীর ডায়াবেটিস থাকে, তার হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পুরুষের চেয়ে বেশি। মধ্যবয়সী মানুষের ক্ষেত্রে, করোনারি হৃদরোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা নারীদের তুলনায় পুরুষদের প্রায় ৫ গুণ বেশি। হৃদরোগে লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ মূলত হরমোনগত পার্থক্য।

যে বয়সে হৃদরোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি: হৃদরোগ সব বয়সেই হতে পারে। তবে সাধারনত বয়স্ক ব্যক্তিরাই এ রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারনভাবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮২ শতাংশই হৃদরোগে মারা যায়। আবার ৫৫ বছর বয়সের পরে স্ট্রোক করার সম্ভাবনাও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আবার বয়সের সাথে সাথে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়, ফলে করোনারি ধমনী রোগ হয়।

হৃদরোগের লক্ষণসমূহ:

  • সাধারণত কানের লতি সমতল হয়ে থাকে যদি কানের লতিতে ভাঁজ পড়ে তাহলে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন।
  • চোখের আইরিশের বাইরের প্রান্তে ধূসর, সাদা বা হলুদ অর্ধচক্র বা বৃত্তাকার বলয় থাকলে বুঝতে হবে আপনার রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, যা হৃদরোগের চিহ্ন।
  • হাতের নখের আকার পরিবর্তন হয়েছে বা অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েছে তাহলে বুঝতে হবে হার্টের অবস্থা ভালো নয়। নখ যখন চামড়ার থেকে বেশি বেড়ে গিয়ে বেঁকে যায় তখন তাকে ক্লাবিং বলে। আর এরকম হওয়ার কারণ হলো হার্ট থেকে পর্যাপ্ত রক্ত আঙুলের নখে পৌঁছতে পারছে না।
  • দাঁতের অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থা এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ায় রক্তপ্রবাহে ৭০০ বেশি বিভিন্ন জীবাণু প্রবেশ করে। আর এর কারণে কেউ সুস্থ বা ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হলেও তার হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৩৯টি দেশের ১৫ হাজার ৮২৮ জনের ওপর গবেষণাটি চালিয়ে এ কথা জানান।
  • এছাড়াও বুক, পিঠ, পেট, গলা, বাম বাহুতে ব্যাথা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভুত হতে পারে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়:

  • বেশি ক্যালরি সমৃদ্ধ খাদ্য বর্জন করতে হবে।
  • অতিরিক্ত চা-কফি, ফাস্টফুড টিনজাত ও শুকনো খাবার, কোমলপানীয় বর্জন করতে হবে।
  • মদ্যপান, সাদা জর্দা, তামাক, ধূমপান বন্ধ করতে হবে (ধূূূমপান ছাড়ার ১০ বছর পর্যন্ত ঝুঁকি থেকে যায়)।
  • মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, কায়ীক পরিশ্রম কম করাও হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। হৃদরোগ বংশগতও হয়।
  • অনিদ্রা, টেনশন, ভয়, ক্রোধ, শোক, হতাশা, রাগ, প্রতিশোধ প্রবণতা, হিংসা বিদ্বেষ, অশান্তি, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় বা চেচাঁমিচি (চিৎকার), অস্থিরতা, ক্ষমা করতে না পারা- এসব মানসিক চাপ বর্জনীয়।
  • উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত রাখা (সপ্তাহে এক দিন রক্তচাপ পরীক্ষা, মাসে একবার করে রক্তের সুগার দেখা, তিন মাস পর পর লিপিড প্রফাইল ও ছয় মাস পরপর ইসিজি ও বছরে একবার করে ইটিটি করা উচিত- নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরও)।

জন্মগত হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়:

  • গর্ভবতী মায়েদের ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • গর্ভবতী মায়ের উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে।
  • গর্ভবতীর কোনো রকম ওষুধ খাওয়ার আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।
  • তিন মাস পর্যন্ত গর্ভবতী মায়ের কোনো ধরনের এক্স-রে অথবা রেডিয়েশন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকলে অন্তত তিন মাস আগে মাকে MMR ইনজেকশন দেয়া আবশ্যক, যেন ‘রুবেল্লা জার্মান মিজেলস’ রোগ না হয়।

পরিশেষে, দাম্পত্য সুখী সম্পর্ক, সামাজিক সুস্থ সম্পর্ক, ধর্মকর্ম, ধূমপান বর্জন ও ধ্যান হৃদরোগ প্রতিরোধ সহায়ক।

আরও পড়ুন:
[mks_icon icon=”fa-play” color=”#dd3333″ type=”fa”]গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
[mks_icon icon=”fa-play” color=”#dd3333″ type=”fa”]নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips

নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তি – Bangla Health Tips

Bangla Health Tips: নাক ডাকা সাধারণত পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। নাক ডাকা কোনো রোগ নয়, তবে রোগের লক্ষণ হতে পারে। যিনি নাক ডাকেন, তার জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণও। আর অবশ্যই পাশের মানুষটির জন্য এটি বিরক্তির। বয়স, ওজন কিংবা কিছু বিশেষ রোগ বাড়ার সাথে সাথে এর তীব্রতাও বাড়তে থাকে। নাক ডাকার এই অভ্যাস পুরোপুরি বদলানো না গেলেও এর তীব্রতা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। যেহেতু নাক ডাকা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন। সেহেতু চলুন জেনে নেয়া যাক নাক ডাকার বিশেষ কারণসমূহ এবং যে  বিষয়গুলো মেনে চললে নাক ডাকা থেকে পাবেন চিরমুক্তি।

নাক ডাকার বিশেষ কারণসমূহ:

  • শরীরে বাড়তি ওজন, গর্ভাবস্থা এবং কিছুটা বংশগত কারণে মানুষ নাক ডেকে থাকে।
  • মদ্যপান, ধূমপান এবং বিশেষ কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মানুষ নাক ডেকে থাকে।
  • থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগের ফলে মানুষ নাক ডেকে থাকে।
  • বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে চামড়া ঝুলে যায়, পুরু হয় এবং গলার কিছু পেশীও ফুলে যায়। এর জন্য বয়স্করা নাক ডাকেন তুলনামূলক বেশি।
  • অ্যালার্জি, নাক বন্ধ হওয়া অথবা নাকের ভিন্ন গঠনও নাক ডাকার একটি কারণ। এসব কারণে নাকের ভেতরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে না এবং নাক ডাকার সৃষ্টি হয়।

নাক ডাকা থেকে চিরমুক্তির উপায়সমূহ:

পর্যাপ্ত ঘুম : আপনার যদি দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা না হয়ে থাকে তাহলে নাক ডাকা বেড়ে যেতে পারে কিংবা হঠাৎ করে শুরুও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি শরীরের পেশীগুলোকে অলস করে দেয় যা নাক ডাকার অন্যতম একটি কারণ। শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ধ্যান করুন : ধ্যান বা মেডিটেশন শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম সমাধান। ধ্যানের মাধ্যমে আপনার অজানা অনেক সমস্যার সমাধানও হতে পারে। ধ্যান করার মাধ্যমেও আপনি নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

ওজন কমানো : শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি করে। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

শোয়ার অবস্থান : সোজা এবং চিৎ হয়ে শোবার কারণে জিহ্বা এবং নরম তালু পেছনের দিকে হেলে যায়। যার কারণে মুখের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গাটা আটকে যায় এবং শব্দের সৃষ্টি হয়। ডান কাতে শোয়া এক্ষেত্রে খুবই ভালো একটি সমাধান। বাম কাতে শোয়ার জন্য বুকের উপর বেশি চাপ পড়তে পারে। তাই সবদিক থেকে ডান কাতে শোয়াটা একটি ভালো উপায়।

উঁচু বালিশে শোয়া : ঘুমানোর সময় একটি বাড়তি বালিশ নিয়ে মাথাটা একটু উঁচু জায়গায় রেখে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। লক্ষ্য রাখুন যেন শুধু মাথাই নয়, বুকের দিকটাতেও যেন সামঞ্জস্য বজায় রাখে। তা না হলে ঘাড়ে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হতে পারে।

পরিষ্কার রাখুন কক্ষ : ধুলাবালিতে অ্যালার্জির কারণে নাকের ভেতরে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। দৈনিক আপনার কক্ষের ফ্যান, আসবাবপত্র, বই-খাতা, চেয়ার-টেবিল এবং প্রাত্যহিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র ঝেড়ে রাখুন।

পরিষ্কার রাখুন নাসারন্ধ্র : নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। এতে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

ধূমপানকে “না” বলুন : ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। সিগারেটের ধোঁয়া নাকের ভেতরে এবং গলার মেমব্রেন টিস্যুর ক্ষতি করে ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। তাই উচিত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।

রাতে খাবারের সময় পরিবর্তন : ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। পরিপাকতন্ত্র ঝামেলা করবে না। রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।

পরিশেষে, নাক ডাকা কারো জন্যই সুখকর নয়। যিনি নাক ডাকেন এবং যিনি তার পাশে থাকেন উভয়ের জন্যই ব্যাপারটি ব্যাদনাদায়ক। তাই উপরের দেয়া সহজ কিছু নিয়ম মেনে নাক ডাকা থেকে পান চিরমুক্তি। তবে, উপরের দেয়া নিয়মগুলো মেনেও যদি আপনার নাক ডাকার প্রকোপ না কমে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। দূর করুন স্বাস্থ্যঝুঁকি।

আরও পড়ুন:
[mks_icon icon=”fa-play” color=”#dd3333″ type=”fa”]গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সহজ সমাধান – Bangla Health Tips
[mks_icon icon=”fa-play” color=”#dd3333″ type=”fa”]হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয় – Bangla Health Tips