-

মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল

আমাদের এই জীবন এক অসমাপ্ত ধারনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, কেউ জানি না কখন এর সমাপ্ত ঘটবে। দিনের পর রাত,, রাতের পর দিন আসে। সকাল ফুরিয়ে দুপুর, দুপুর ফুরিয়ে বিকেল এভাবে কেটে যায় আমাদের এই জীবন। এই প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডে এক মাত্র তারাই টিকে থাকে যারা সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থায় নিজেকে রক্ষা করতে পারে। আমরা জানি যানবাহনে চলাচলকালে ড্রাইভারের প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডের কারনেই ঘটে থাকে অনেক দুর্ঘটনা যার খেসারত দিতে হয় পুরো পরিবারকে।আসুন জেনে নেই কি কি কৌশল ব্যাবহার করলে সিট বেল্ট ছাড়াও আপনি বাচতে পারেন এই মরণকামড় দুর্ঘটনা থেকে।

১. “বাসের বাম দিকের সিটগুলোতে বসার চেষ্টা করবেন”
কারন, আমরা জানি যে বাংলাদেশের যানবাহনগুলোতে ড্রাইভারের আসন রাখার নিয়ম বাসের ডান দিকে অন্যান্য দেশের বাম দিকে, বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় যে এক বাসের সাথে অন্য বাসের বা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অনেক মানূষের মৃত্যু হয়, আপনি যদি কোনো দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে বাসের ভিতর ডান দিকে থাকা লোকদেরি অধিক পরিমানের আঘাত প্রাপ্ত হতে দেখা যায়। কারন ড্রাইভার সামনে থাকা গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতে আবার নিজের জায়গায় আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক বাসের ডান দিকে আঘাত করে, সুতরাং বাসের ডান দিকে অংশ প্রচুর চাপে ডান দিকের সকল কাচ ভেঙে যায়। আর তাতেই বাসের বাম দিকে থাকা যাত্রিদের থেকে অধিক পরিমানের আঘাতপ্রাপ্ত হয় বাসের ডান দিকের যাত্রিরা।

২. হালাকা কোনো ব্যাগ থাকলে তা নিজের কোলে রাখার চেষ্টা করা।
কারন, হঠাৎ বাস তার বিপরীত গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলে সামনের সিটের সাথে জোড়ে ধাক্কা খাওয়া থেকে কিছুটা সাপোর্ট করবে।

৩. “বাসে একদম সামনের সিটে কখনো আসন নিবেন না”।
কারন, বাস হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হলে সামনে থাকা যাত্রিদের উপর প্রচুর চাপ পরে সামনে অন্যকোনো সিট না থাকায় লোহা বা অন্যকোনো ধাতব শক্ত কিছুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

৪. “যানবাহনে চলাচলকালে না ঘুমিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করা”
কারন যানবাহনে চালাচলকালে ঘুমিয়ে পরলে হঠাৎ করে কোন বিপদ সামনে আসলে কিছু করার থাকে না, সে যেকোনো বিপদি হোউক না কেন।


৫.”বাসের মাঝখানের সিটে আসন নিবেন”
কারন, সামনে সাপোর্টের জন্য একটি সিট যেনো থাকে।

৬. সব শেষে যার যার ধর্মের প্রভুর নিকট উপাসনা করতে থাকা।
কারন, জন্ম, মৃত্যু দেওয়ার মালিক তিনি একমাত্র তিনিই।

যদি আমরা এই সামান্য কিছু কৌশল মানতে পারি তাহলেই আমরা কঠিন কঠিন দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে বাচাতে পারি,,,বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করুন।
(আমিন)

 

সর্বশেষ প্রকাশিত