-

Net neutrality কি জানুন | FCC ধংশ করে দিচ্ছে নেট নিউট্রালিটিকে

নেট নিউট্রালিটি কী? নেট নিরপেক্ষতা এই নীতিটি প্রসার করে যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা যারা ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রন করছেন তারা ব্যবহারকারী, কন্টেন্ট, ওয়েবসাইট, প্রচারের মাধ্যম, অ্যাপ্লিকেশন, যেকোনো সংযুক্ত সরঞ্জামের ধরণ তথা যোগাযোগের মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে যেন পক্ষপাত না করেন। সোজা ভাষায় বললে, সবার জন্য ইন্টারনেটের সমান অধিকার। ইনটারনেট সংযোগ থাকলে, গ্রাহক ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রেই বিচরণ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটের জন্মলগ্ন থেকেই এই নিয়মই চালু ছিল।কিন্তু গত কয়েক বছর এই বিষয় টাকে নিয়ে অনেক টানা হেছড়া চলছে। আজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে আমেরিকার Federal Communications Commission (FCC) নেট নিউট্রালিটি কে ধংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোট প্রদান করেছে।

নেট নিউট্রালিটি বন্ধ করে দিলে ক্ষতি কি? মনে করোন ইন্টারনেটে আপনি ঢুকেছেন নিজের পছন্দের খবরের চ্যানেল দেখতে আর আপনার মোবাইল অপারেটর বলছে, এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে? কখনও উপহার কিনতে ই-কমার্স কোম্পানির একটিকে খুঁজতে গিয়ে চলে আসছে অন্য কোম্পানির নাম। কোনও পছন্দের অনলাইন ওয়েবসাইটে সিনেমা বা ভিডিও দেখতে গিয়ে দেখলেন তাতে ভালো স্পিড পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য আর একটি ওয়েবসাইটে বেশি স্পিড দিচ্ছে? এরকম ভুল তথ্য দিয়ে আপনাকে ঠকিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর বা ইন্টারনেট প্রভাইডাররা তাদের পকেটে টাকা ঢুকাবে।(মোবাইল ফোন অপারেটর বা ইন্টারনেট প্রভাইডাররা এই কাজটা কিভাবে করে এবং বাংলাদেশেও এটা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করছে এসব নিয়ে বিস্তারিত আরেকদিন লেখব)

এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বা হওয়া উচিত নয়। কারণ যে সংস্থা আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে তাদের ডেটা প্রবাহের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা উচিত ও কোনওরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়। কারণ আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার টাকা দেন। সব ধরনের কনটেন্ট উপভোগ করার আপনার অধিকার রয়েছে। FCC  সিদ্ধান্তের বিরুদ্বে আপনার ভোট দিতে এই save internet ওয়েব সাইটে  গিয়ে আপনার মূলবান ভোট দিয়ে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা রক্ষা করুন।(এই আরটিকেলটি সব জায়গায় শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।)

সর্বশেষ প্রকাশিত