নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ,এই প্রথমবারের মতো পৃথিবীর টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে অন্য এক গ্যালাক্সির অজানা বস্তু, যা প্রবেশ করেছে আমাদেরই সৌরজগতে! ১৯ অক্টোবর হেলিকাল হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্যান-স্টারস১’ টেলিস্কোপে ধরা পড়ে সৌরজগৎ পরিভ্রমণকারী সেই অজানা ‘বস্তু’।বস্তুটির ব্যাস ৪০০ মিটার এবং এটি খুব দ্রুত গতি বেগে ছুটে চলছে।
এই অজানা ‘বস্তুটি’ প্রথম আবিষ্কার করেন,হনলুলুর হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী রব ওয়েরিক।অস্থায়ীভাবে এটার নাম রাখা হয়েছে ‘এ/২০১৭/ইউ১’।বস্তুটি ২৫.৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে ছুটে চলছে। এর প্রচণ্ড গতি দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এটা ধূমকেতু বা কোনো গ্রহাণু নয়।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ট্রাজেক্টরি বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফারনোচ্চিয়া বলেন, ‘আমি যত কক্ষপথ পরিভ্রমণকারী দেখেছি, তার মধ্যে এটাই চরম’।নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, ‘এটার গতি ভীষণ, যে কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, এটা আমাদের সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।’
জেএলএল এর সেন্টার ফর নিক-আর্থ অজাজা স্টাডিজ ম্যানেজার পল ক্লোদাস বলেন, “আমরা কয়েক দশক ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।” “দীর্ঘদিন ধরে এই বস্তুগুলি বিদ্যমান- এ গ্রহাণু বা ধূমকেতুগুলি নক্ষত্রের মাঝে ঘুরছে এবং মাঝে মাঝে আমাদের সৌরশক্তির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে- কিন্তু এটি প্রথম এই ধরনের সনাক্তকরণ। এতদূর, সবকিছুই ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট, তবে আরো তথ্য এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। “
আজ আমি আপনাদের কাছে এমন ৫টি সফটওয়্যার ও টুলস এর পরিচয় করিয়ে দেব যাদের সাহায্যে আপনি এক জায়গায় বসে অন্য জায়গার কম্পিউটারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।আর এই সফটওয়্যার ও টুলস গুলো একদম ফ্রি তে পাচ্ছেন।
এই প্রযুক্তিকে রিমোট একসেস বলা হয়! রিমোট একসেস সফটওয়্যার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি দুনিয়ার এক স্থানে বসে অন্য স্থানের কম্পিউটারগুলোকে একসেস করতে পারবেন।যেমন আপনার আত্নীয় বা বন্ধুর পিসিতে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করা, বা কোনো ছোটখাট সমস্যার সমাধান করা কিংবা আপনার গ্রামের বাসার পিসিতে কোনো ছোটখাট সমস্যার সমাধান করা ইত্যাদি। আজকে আমি এরকম ৫টি ফ্রি এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য রিমোট একসেস সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলতে চলে এসেছি। তো চলুন দেখে নেই কি কি সফটওয়্যার রয়েছে:
টিম ভিউয়ার:
রিমোট একসেস করার জন্য জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হচ্ছে TeamViewer. এটি অনেক ফিচারসমৃদ্ধ সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমকে সার্পোট করে। যে পিসিতে রিমোট একসেস পেতে চান সেখানে 5MB এর TeamViewer QuickSupport সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে ৯ ডিজিটের আইডি কোড এবং ৪ ডিজিটের পাসওর্য়াডটি লিখে নিতে হবে। তারপর হোস্ট পিসিতে পূর্ণাঙ্গ TeamViewer সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে উক্ত আইডি ও পাসওর্য়াড লিখে এন্টার করলেই কানেক্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সফটওয়্যারে স্ক্রিণ রেকডিং, ফাইল টান্সফার, বেসিক সিস্টেম ইনফরমেশন শেয়ারিং, রিমোট রিবুটসহ বেশ কিছু ফিচার রয়েছে।
ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ:
গুগলের Chrome Remote Desktop হচ্ছে একটি ফ্রি এপ যেটির মাধ্যমে ক্রোম ওয়েব ব্রাউজ বা ক্রোমবুক থেকেই সরাসরি রিমোট কন্ট্রোল ফিচার ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিতে রিমোট কনট্রোল সুবিধা উপভোগ করতে চাইলে কিছু রিকোয়ারমেন্টস রয়েছে। সেগুলো হলো দুটি পিসিতেই গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইন্সটল করা থাকতে হবে, দুটিতেই তাদের গুগল একাউন্টে সাইন করে ৩ মেগাবাইটের ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ এপটি ইন্সটল করতে হবে এবং সর্বশেষে রিমোট ডেস্কটপ এপটিতে পারমিশন গ্রান্ট করতে হবে।
ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ ইন্সটল করার পর এর ব্যবহার খুবই সোজা। যে পিসিকে রিমোটলি কনট্রোল করা হবে সেটিতে লাল রংয়ের শেয়ার বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং তারপর ১২ ডিজিটের একটি একসেস কোড পাবেন। এবার এই একসেস কোডটি যিনি রিমোটলি একসেস করবেন তার কাছে পাঠিয়ে দিন, তিনি তার পিসিতে একসেস বাটনে ক্লিক করে উক্ত ১২ ডিজিটের কোডটি টাইপ করে কানেক্ট বাটনে ক্লিক করলেই প্রসেস চালু হবে।
গুগল ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ শুধুমাত্র পিসিকে রিমোটলি কনট্রোল করতে পারবে কিন্তু বিভিন্ন উন্নত মানের ফিচার যেমন ফাইল ট্রান্সফার, VOIP ইত্যাদি ফিচারগুলো এতে নেই।
এমি এডমিন:
Ammyy Admin সাইজে ছোট এবং নন কর্মাশিয়াল ব্যবহারের জন্য একটি ফ্রি রিমোট একসেস সফটওয়্যার। এর সাইজ মাত্র ৭০০ কিলোবাইট। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের করে রিমোট একসেস করতে চাইলে দুটি পিসিতেই এমি এডমিন সফটওয়্যার ইন্সটল করে ৮ ডিজিটের আইডি আদান প্রদানের মাধ্যমেই প্রসেস শুরু করা যায়।
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আইডি কোডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ ঘন্টার জন্য রিমোট কনট্রোল, ফাইল ম্যানেজার, ভয়েস চ্যাট এবং RDP কানেক্টশন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তবে সরাসরি আইপি এড্রেস ব্যবহার করে কানেক্ট করা হলে এই লিমিট থাকবে না।
সিক্রিন:
Seecreen একটি ছোট সাইজের ফ্রি রিমোট একসেস সফটওয়্যার। সাইজে অনেক ছোট (মাত্র ৬৬৪ কিলোবাইট) এবং জাভার সাহায্যে চলে বিধায় এটি উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্সে ব্যবহার করা যায় এছাড়াও এই সফটওয়্যারটি তাদের নিজস্ব স্ক্রিণ শেয়ারিং প্রোটকল ব্যবহার করে। এছাড়াও এই সফটওয়্যারে সেশন রেকডিং, ভয়েস চ্যাট এবং ফাইল টান্সফারেরও সুবিধা রয়েছে।
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য হোষ্ট পিসিতে ক্লায়েন্ট পিসির রিমোট আইডি এবং পাসওর্য়াড লিখে কানেক্ট করলেই প্রসেস শুরু হয়ে যাবে। এই ছোট্ট রিমোট একসেস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার আগে আপনার এবং রিমোট একসেস পিসিতে লেটেস্ট সংস্করণের জাভা ইন্সটল করা থাকতে হবে।
এনিডেস্ক:
আজকের টিউনটি শেষ করছি একটি চমৎকার রিমোট একসেস সফটওয়্যারটি দিয়ে। AnyDesk হচ্ছে একটি ফ্রি রিমোট একসেস প্রোগ্রাম যেখানে ইন্সটলের ঝামেলা নেই, ফাইল টান্সফারের সুবিধা রয়েছে এই প্রোগ্রামটি রাউটার কনফিগারেশনের ছাড়াই ব্যবহার করা যায়।
আজকের টিউনে সবার শীর্ষে আমি এই সফটওয়্যারটি রাখতে চাই কারণ এটার ফ্রি সংস্করণে নন কমার্শিয়াল ভাবে আপনি সকল প্রিমিয়ার ফিচার উপভোগ করতে পারবেন। যেটা TeamViewer এর মতো জনপ্রিয় প্রোগ্রামেও দেওয়া নেই। তবে টিউনে সবার শীর্ষে রাখার মূল কারণ হচ্ছে এই রিমোট একসেস প্রোগ্রামে অন্যান্য প্রোগ্রামে থেকে সবথেকে বেশি স্পিড পাওয়া যায়।
এছাড়াও AnyDesk এর অনান্য ফিচারগুলো হচ্ছে এখানে ক্লিপবোর্ড কনটেন্ট শেয়ার করা যায়, ভিডিও কোয়ালিটি এবং স্পিড এর মধ্যে নিজস্ব সেটিং প্রয়োগ করা যায়, ক্লিপাবোর্ডের মাধ্যমে সহজে ফাইল টান্সফার, পোর্টেবল মোডে চলা অবস্থাও রিমোট পিসিকে রিস্টার্ট দেওয়া যায়, রিমোট পিসিতে সকল প্রকার কিবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা যায় এবং যেকোনো সময় হোস্ট এবং কায়েন্ট পিসির মধ্যে পজিশন অদলবদল করা সহ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রিমিয়াম ফিচার এতে রয়েছে। আর এর সাইজও অনেক ছোট মাত্র ৩ মেগাবাইটের মতো। আজই এই চমৎকার রিমোট একসেস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন।
পৃথিবীর সবাই চায় ধনী এবং সম্পদশালী হতে আপনিও নিশ্চয়ই চান? কিন্তু সঠিক ও স্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাবে নিশ্চয়ই কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। ইন্টারনেটে ‘কিভাবে অল্প বয়সে সম্পদশালী হওয়া যায়’ এমন ভিডিও দেখে এবং আর্টিকেল পড়ে পড়ে মুখস্ত করে ফেলেছেন কিন্তু আদৌ কোন সফলতার দেখা পাননি? নিরাশ কিংবা মনঃক্ষুণ্ণ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সম্পদশালী হওয়া রাতারাতি কোন ব্যাপার নয়। এটি একটি জীবন-দর্শন। সুতরাং, সম্পদশালী হবার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।ব্যাপারটি খুব একটা কঠিন নয় , প্রয়োজন শুধু একটি স্পষ্ট মানসিকতা এবং সঠিক জীবন-ব্যবস্থার। চলুন তবে কথা না বাড়িয়ে কৌশলগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
নিজস্ব ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করুন
আপনার ব্যবসা যেন সফল হয় এবং আপনি যেন একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সকলের মাঝে সমাদৃত হতে পারেন, সেজন্যে নিম্নোক্ত কিছু পয়েন্ট মাথায় রাখুনঃ
– আপনি যা-ই করছেন, সেটিকে ভালোবাসুন। এমন কোন বিষয়ে ব্যবসা শুরু করুন যেটির ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট আগ্রহী এবং সম্পূর্ণ ধ্যান-জ্ঞান একই কাজে লাগাতে পারবেন। এটি প্রত্যেকটি সফল ব্যবসায়ীর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
– নিজের ব্যবসায়কে গুরুত্ব দিন। প্রতি মাস কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন। সর্বদা চোখ-কান খোলা রাখুন এবং যেখানে যেভাবে পারেন ব্যবসায় সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে থাকুন। এক্টু-আধটু ভুল হলেও কোনভাবে ভেঙ্গে পড়বেন না, বরং ভুল থেকেই শেখার মানসিকতা পোষণ করুন।
– ব্যবসায় পরিকল্পনার কৌশল অনুসরণের চেষ্টা করুন। আজ থেকে পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর পর আপনি আপনার ব্যবসায়কে কোন পর্যায়ে দেখতে চান, তার ছক আজই কেটে ফেলুন। সুপরিকল্পিত উপায়ে এগোলে সমগ্র ব্যাপারটিই সহজ মনে হবে আপনার কাছে।
বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করুন
হাতের কাছে কিছু টাকা জমানোর পর সেগুলো বিনিয়োগ করার সুযোগ খুঁজুন। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক সংস্থাই আছে কিন্তু সেগুলোর ব্যাপারে আমরা খুব একটা জানিনা। প্রযুক্তি সম্পর্কিত কোন স্টার্ট-আপ কোম্পানি কিংবা ছোটখাটো ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে পারেন যেগুলো মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিনিয়োগ করুন। অবশ্যই, ভালো মত খোঁজ নিয়ে তারপরেই কাজগুলো সম্পাদন করবেন।
নতুন নতুন আইডিয়ার উদ্ভাবন করুন
দর্শনবিদ্যায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে, ‘একটি আইডিয়া কিংবা ধারণা আপনার সমগ্র জীবন বদলে দিতে পারে’। কথাটি কিন্তু একদম দিনের আলোর মত সত্য। এখানে কিন্তু কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন সে ধারনার কথা বলা হচ্ছে না বরং জীবনের আর্থিক এবং সামাজিক বাধাসমূহ কিভাবে এড়িয়ে চলবেন সে উপায়ের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরুপ বলা যায়- ল্যারি পেইজ এবং সার্জি ব্রিন গুগল উদ্ভাবন করেছেন। মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক, লালিত মোদি আইপিএল এর চিন্তা মাথায় এনেছেন, জ্যান কৌম হোয়াটসঅ্যাপ আবিষ্কার করেছেন। আপনিও এমন কিছু ধারনা মাথায় আনতে পারেন যেটি আপনার এলাকা, সমাজ কিংবা দেশের জন্যে নতুন।
অযাচিত খরচ করা বন্ধ করে ফেলুন
অতিরিক্ত ব্যয়বহুল পোশাক, জুতো, রোদচশমা কিংবা গহনার চলন্ত বিলবোর্ড হবার কোন দরকার নেই। নিজস্ব বাড়ি এবং গাড়িকে এমনভাবে সাজানোর কী দরকার যখন সেটি আপনার মাসিক বাজেটকে অতিক্রম করে ফেলে? আপনি যদি সত্যিই সম্পদশালী হতে চান তবে এ অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনাকে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় খরচ করা এড়িয়ে চলতে হবে এবং প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। আজ থেকেই না হয় শুরু করুন এ অভ্যাস?
কঠোর পরিশ্রম করে ব্যক্তিগত আয় বৃদ্ধি করুন
শুনে ভড়কে গিয়েছেন? কীভাবে বাড়াবেন ব্যক্তিগত আয়? আপনি যদি নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চাকরী করেন তাহলে নিজের বর্তমান ক্যারিয়ারের দিকেই মনোনিবেশ করুন। কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অর্জন ধীরে ধীরে উন্নত করার চেষ্টা শুরু করুন আজ থেকেই। চাকরীকে শুধুমাত্র আয়ের উৎস হিসেবে গ্রাহ্য না করে ক্যারিয়ার উন্নত করার সূচক হিসেবে গ্রহণ করুন। সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করুন এটির প্রতি, তবেই আপনি ভালো কিছু করার আশা করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করুন
কোন বিষয়ের প্রতি আপনার অত্যধিক শখ কিংবা আগ্রহ আছে? সেটি হতে পারে ফুটবল, গাড়ি, কোন সেলিব্রিটি, গেইম খেলা, গান শোনা কিংবা যেকোন ব্যাপার। প্রথমে একটি ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করুন সে সম্পর্কে এবং নিজের মতামত ব্যক্ত করা শুরু করুন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে, উন্নত বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজের ব্লগকে একটি সমৃদ্ধ করে নিন।
অভিজ্ঞ মার্কেটার হিসেবে যাত্রা শুরু করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে যেখানে আপনি আপনার রিভিউ এর লিংকগুলো প্রকাশ করতে পারবেন।
সঞ্চয়ী হোন
অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করতে যত সময়ই নেন না কেন আপনি, এটি আজ থেকেই আরম্ভ করুন। বাবা-মা কিংবা শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে দেখুন যে কোন প্রক্রিয়ায় আপনি খুব দ্রুত সম্পদশালী হয়ে উঠতে পারবেন। প্রতি মাসে অন্তত ১,৫০০ টাকা জমান এবং ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বাড়ান। এক বছরের মধ্যে দেখবেন বেশ অনেক পরিমাণ টাকা জমে গিয়েছে। অযথা যেকোন খরচ বাদ দিলে খুব সহজেই কোন ধরনের ঝক্কি ছাড়াই আপনি অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।
আত্মবিনিয়োগ করুন
পড়াশোনা শেষ করে সন্তোষজনক ডিগ্রী অর্জন করুন। আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করেন তাহলে সে আয় দিয়ে নিজস্ব খরচ নির্বাহ করুন। আপনি চাইলে নতুন কোন কাজ শিখতে পারেন কিংবা নতুনভাবে নিজের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। যেমন- স্বাস্থ্যমসম্মত খাবার খাওয়া, শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলা।
এ অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র নিজের আত্মবিশ্বাস এবং কর্মঠই করবেন না, বরং এর সঙ্গে আপনার প্রফেশনাল আয় বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি খুব দ্রুত সম্পদশালী হয়ে উঠবেন।
বড় বড় স্বপ্ন দেখতে কোন মানা নেই। অল্প বয়সে সম্পদশালী হবার জন্যে হাজার হাজার উপায় আছে। সৎ পথে চলুন, নির্দিষ্ট কিছু কৌশল খুঁজুন এবং সেগুলোতেই সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করুন। শুভকামনা রইলো।
সার্চ জায়ান্ট গুগলের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেটে শুরু হয়ে গেছে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন সড়ক সহ দেশের আরও বড় বড় শহরের রাস্তা গুলোতে। ফলে কোন সড়কে যানজট রয়েছে বা কোন সড়কে যানবাহনের গতি ধীর গতির তা গুগল ম্যাপের মাধ্যমেই দেখা যাবে। এছাড়া কোন সড়কে যানজট নেই এবং কোন সড়কে যান চলাচল বন্ধ তাও জানা যাবে।
গুগল ম্যাপে গিয়ে দেখা যায় যানজট বা সড়কের যানবাহনের গতি বোঝানো হচ্ছে কয়েকটি রঙের চিহ্ন দিয়ে।রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের ওপর নির্ভর করে ম্যাপের রং পরিবর্তন হবে। যে রাস্তায় সবুজ রং দেখাবে, সেখানে জ্যাম নেই। কমলা রঙের অর্থ হালকা জ্যাম রয়েছে। লাল রঙের অর্থ জ্যাম লেগে রয়েছে আর গাঢ় লাল রং দেখালে বোঝা যাবে ট্রাফিক গ্রিডলক হয়ে রয়েছে।
Dhaka traffic jam
এ ফিচার ব্যবহার করে রাজধানীর মূল রাস্তাগুলোর অবস্থা জানতে ম্যাপের মেন্যু থেকে ট্রাফিক অপশনটি চালু করতে হবে। এরপর রাস্তাগুলোর ওপরে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল রঙয়ের কিছু রেখা দেখতে পাওয়া যাবে। অপশনটি চালু থাকা অবস্থায় ডিভাইসের নোটিফিকেশনেও কিছুক্ষণ পরপর রাস্তার গাড়ি চলাচলের আপডেট দেখা যাবে।
ভিডিওতে দেখে নিন কি ভাবে ট্রাফিক অপশনটি চালু করবেন।
তবে অলিগলি রাস্তার অবস্থা দেখার জন্য সেবাটি এখনো চালু করা হয়নি।
যারা গুগল ম্যাপসে বাসা, কর্মস্থল ও অন্যান্য দৈনিক যাতায়াতের স্থান সংরক্ষণ করে রেখেছেন, তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে কতক্ষণ দেরি হতে পারে, তা-ও দেখাবে গুগল। এ সেবার ফলে হঠাৎ ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাওয়ার আগেই পূর্বসতর্কতা পাওয়া যাবে।
যেভাবে কাজ করে গুগলের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট:
স্মার্টফোনে ব্যবহৃত গুগল ম্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবা দিয়ে থাকে গুগল। একজন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট স্থানে যেতে গুগল ম্যাপ অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এর ফলে তিনি গুগলকে তার বর্তমান অবস্থান জানার অনুমতি দিয়ে থাকেন। এদিকে গুগল তার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবাটি দিয়ে থাকে।
এদিকে শুধুমাত্র লাইভ ট্রাফিক আপডেট নয়, টাইপিকাল ট্রাফিক আপডেট নামে আরেকটি অপশনের দেখা মেলবে কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা গুগল ম্যাপে। এর মাধ্যমে বিগত কয়েক দিনের ট্র্যাফিক আপডেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
জানা যায়, ২০০৭ সালে প্রথম রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবাটি চালু করে গুগল। এরপর এই সেবাটি বিভিন্ন দেশে চালু করেছে গুগল।
আমাদের এই জীবন এক অসমাপ্ত ধারনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, কেউ জানি না কখন এর সমাপ্ত ঘটবে। দিনের পর রাত,, রাতের পর দিন আসে। সকাল ফুরিয়ে দুপুর, দুপুর ফুরিয়ে বিকেল এভাবে কেটে যায় আমাদের এই জীবন। এই প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডে এক মাত্র তারাই টিকে থাকে যারা সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থায় নিজেকে রক্ষা করতে পারে। আমরা জানি যানবাহনে চলাচলকালে ড্রাইভারের প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডের কারনেই ঘটে থাকে অনেক দুর্ঘটনা যার খেসারত দিতে হয় পুরো পরিবারকে।আসুন জেনে নেই কি কি কৌশল ব্যাবহার করলে সিট বেল্ট ছাড়াও আপনি বাচতে পারেন এই মরণকামড় দুর্ঘটনা থেকে।
১. “বাসের বাম দিকের সিটগুলোতে বসার চেষ্টা করবেন”
কারন, আমরা জানি যে বাংলাদেশের যানবাহনগুলোতে ড্রাইভারের আসন রাখার নিয়ম বাসের ডান দিকে অন্যান্য দেশের বাম দিকে, বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় যে এক বাসের সাথে অন্য বাসের বা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অনেক মানূষের মৃত্যু হয়, আপনি যদি কোনো দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে বাসের ভিতর ডান দিকে থাকা লোকদেরি অধিক পরিমানের আঘাত প্রাপ্ত হতে দেখা যায়। কারন ড্রাইভার সামনে থাকা গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতে আবার নিজের জায়গায় আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক বাসের ডান দিকে আঘাত করে, সুতরাং বাসের ডান দিকে অংশ প্রচুর চাপে ডান দিকের সকল কাচ ভেঙে যায়। আর তাতেই বাসের বাম দিকে থাকা যাত্রিদের থেকে অধিক পরিমানের আঘাতপ্রাপ্ত হয় বাসের ডান দিকের যাত্রিরা।
২. হালাকা কোনো ব্যাগ থাকলে তা নিজের কোলে রাখার চেষ্টা করা।
কারন, হঠাৎ বাস তার বিপরীত গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলে সামনের সিটের সাথে জোড়ে ধাক্কা খাওয়া থেকে কিছুটা সাপোর্ট করবে।
৩. “বাসে একদম সামনের সিটে কখনো আসন নিবেন না”।
কারন, বাস হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হলে সামনে থাকা যাত্রিদের উপর প্রচুর চাপ পরে সামনে অন্যকোনো সিট না থাকায় লোহা বা অন্যকোনো ধাতব শক্ত কিছুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪. “যানবাহনে চলাচলকালে না ঘুমিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করা”
কারন যানবাহনে চালাচলকালে ঘুমিয়ে পরলে হঠাৎ করে কোন বিপদ সামনে আসলে কিছু করার থাকে না, সে যেকোনো বিপদি হোউক না কেন।
৫.”বাসের মাঝখানের সিটে আসন নিবেন”
কারন, সামনে সাপোর্টের জন্য একটি সিট যেনো থাকে।
৬. সব শেষে যার যার ধর্মের প্রভুর নিকট উপাসনা করতে থাকা।
কারন, জন্ম, মৃত্যু দেওয়ার মালিক তিনি একমাত্র তিনিই।
যদি আমরা এই সামান্য কিছু কৌশল মানতে পারি তাহলেই আমরা কঠিন কঠিন দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে বাচাতে পারি,,,বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করুন।
(আমিন)
১) সন্দেহবশতঃ ৫৪ ধারায় যদি বিনা দোষে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হয়- জেনে নিন, ২৪ ঘন্টার বেশি আপনাকে আটক করে রাখার উপায় নেই। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে দ্রুত কোন আত্মীয়কে থানায় আসতে বলুন। অনেক সময় দেখা যায় বখাটেদের সাথে সাথে ওখানের নিরীহ ছেলেও ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় যদি থানায় এসে লিখিত দিতে পারে যে ধৃত ব্যক্তি তাঁর সাথে সম্পর্কিত, এবং সে যা পরিচয় দিচ্ছে সেটি সঠিক- এক্ষেত্রে আপনি ছাড়া পেয়ে যাবেন।
যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খোলতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম তারপর প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস। সারা বিশ্বে এবং আমাদের বাংলাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা প্রদান করে থাকে। তবে ডোমেইন ও হোস্টিং এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো করে জেনেশুনে, সঠিক একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই নেয়া ভালো। না হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিচে কতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,এই বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে শুনে নিলে পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
আপনার কাংখিত ডোমেইন নামটি যদি ইতিপূর্বে কেউ রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে তাহলে এর সাথে কিছু একটা যোগ করে দিতে হবে। ডোমেইনের নাম পছন্দ করতে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডোমেইন নেম চেক করার জন্য বেশ কিছু সাইট রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হোস্টিং প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে ডুকেও আপনি নাম খালি আছে কিনা চেক করে নিতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের ধরণ বুঝে ডোমেইন নেমের এক্সটেনশন বেছে নেয়া উচিত। যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট করেন তাহলে শেষে ডট কম বেছে নিন। কোন অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট করতে চাইলে শেষে ডট ওআরজি বেছে নিন।ইনফরমেশন ভিত্তিক সাইটের জন্য ডট ইনফো, নেট ওয়ার্কিংয়ের জন্য ডট নেট, মোবাইল কোম্পানির জন্য ডট মোবি এবং ব্যবসায়ের জন্য ডট বিজ ব্যবহার করুন। এতে আপনার ওয়েব এড্রেসের নাম দেখেই সাইটের ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন সবাই। আন্তর্জাতিকভাবে, জনপ্রিয় টপ লেভেল ডোমেইন গুলোর বার্ষিক মূল্য প্রায় ৭ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় রুপান্তর করলে প্রায় ৬০০ টাকার মত হয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ বিভিন্ন মূল্যে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে থাকে।আর ডট বিডি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সরাসরি বিটিসিএল এর কাছ থেকে করুন।
কিছু ব্যবসায়ী ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে। অনেক হোস্টিং প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কাছ থেকে হোস্ট কিনলে তারা আপনাকে এক বছরের জন্য আপনার কাঙ্কিত ডোমেইনটি একদম বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে দেবে।আবার অনেক ব্যবসায়ী বিনামূল্য থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ টাকায়ও ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে। সত্যিকার অর্থে ৬০০ টাকার চেয়ে কম মূল্যে কোন ব্যবসায়ীর পক্ষে ডোমেইন বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব নয়। যদি কেউ এই ধরনের অফার দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো তারা মার্কেট ধরার জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে নয়ত এখানে অন্য কোন মার্কেটিং পলিসি কাজ করছে।
ডিস্ক স্পেস
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা করতে হবে।হোস্ট কেনার আগে আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট বানাতে চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ থাকবে তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর যদি ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব সাইট বানাতে চান তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেন তবে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ১০০ এমবিতেই যে সাইট হোস্ট করার জন্য যথেষ্ট সেখানে কিনে ফেলেন ১-৫০ জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করছেন মাএ ১০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকে শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী প্লানে আপগ্রেড করে নিবেন। প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে থাকে। আনলিমিটেড স্পেসের ফাঁদে পা দিবেন না। এটা একটা মার্কেটিং ট্রিকস। কোন কোম্পানিরই আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না। একবার চিন্তা করুন তো আপনি মার্কেটে আনলিমিটেড হার্ডডিস্ক দেখেছেন কি না। সার্ভারও আমাদের পিসির মতোই।
ব্যান্ডউইথ
ওয়েবসাইট হোস্টিং করার সময় যে বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে, তা হলো আপনাকে মাসে কি পরিমান ব্যান্ডউইথ দেয়া হবে তা। এখানে ব্যান্ডউইথ বলতে বুঝানো হয় ইউজাররা যতগুলো পেজ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়। সেই ওয়েবসাইট থেকে মাসে কি পরিমান ডাটা ডাউনলোড করতে পারবে তার পরিমান। ব্যান্ডউইথ হিসাব আপনি খুব সহজে করতে পারবেন। ধরা যাক, আপনার ওয়েবসাইটিতে প্রতিটি ওয়েবপেজের টেক্সট সাইজ 3 KB (কিলোবাইট) এবং গ্রাফিক্স সাইজ 10 KB (কিলোবাইট), প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন ভিজিটর গড়ে ৩টি করে পেজ ভিজিট করে । তবে মোট ব্যান্ডউইথ দরকার = (3 KB + 10KB)*100*3*30 = 1,17,00KB (কিলোবাইট) = 114.26 MB (মেগাবাইট), আপনাকে অবশ্যই আনুপাতিক হিসাবের চেয়ে বেশি ব্যান্ডউইট কিনতে হবে শুরুতেই । আপনি জেনে নিবেন ভবিষতে আরো বেশী ব্যান্ডউইথ কিনতে চাইলে কত মূল্য পরিশোধ করতে হবে। আজকাল অবশ্য অনেক ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের সার্ভারের ম্যাক্সিমাম ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি এবং লোড সম্পর্কে জেনে নিন।
আপটাইম/SLA গ্যারান্টি
একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম বিষয়টি অনেক গুরুত্ব। হোস্টের সার্ভার যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার ওয়েবসাইটও ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা কেবলমাত্র পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক গুরুত্ব বহন করে। পাঠক একবার আপনার ওয়েবসাইটে এসে যদি দেখে আপনার ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট ইনডেক্সের সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কেনার আগে গুগলে যে কোম্পানি থেকে কেনার কথা চিন্তা করছেন সে কোম্পানির নামের সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে সার্চ দিন। যেমন- examplehost uptime লিখে সার্চ দিলে আপনি examplehost .com এর আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আর কোম্পানি যদি কোন মাসে আপটাইম গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান করে কি না চেক করে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত লেখা থাকে।
মানিব্যাক গ্যারান্টি
মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। অনেক কোম্পানিই আছে যারা ৩০ দিনের মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা।
হোস্টিং ফিচার
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন গোপন লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক সময় ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না। তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে মিলে কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং লাগবে। লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন তা তারা দিবে কি না দেখে নিন।
কন্ট্রোল প্যানেল
ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল প্যানেলের সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব চেয়ে সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই সবসময় সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার চেস্টা করুন।
সার্ভার লোড
সাভার ওভার লোড কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয় তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট করলে সাইট লোড হতে অনেক বেশি সময় নেয়। এসব বিষয় খেয়াল রেখে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন। হোস্টগেটর থেকে হোস্টিং কিনতে এখানে ক্লিক করুন
তারপড়েও যদি আরো কোনো তথ্য জানতে চান তাহলে কমেন্ট করোন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আগেই পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচিতে। তাই, চলতি বছরের অক্টোবরের পরিবর্তে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক দলগুলোর স্কোয়াড।
আগামী ৪ নভেম্বর সিলেট সিক্সার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (BPL) পঞ্চম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচ এবং আরও সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।বিপিএলকে সামনে রেখে আরও সংস্কার করা হয়েছে সিলেট স্টেডিয়াম। বাড়ানো হয়েছে আসন সংখ্যাে এবার একসাথে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন ১৮ হাজার ৫০০ জন দর্শক।
দেখে নিন এবার BPL এ কে কোন দলে খেলছেন।
Sylhet Sixers
Sylhet Sixers
Dhaka Dynamites
Dhaka Dynamites
Chittagong Vikings
Chittagong Vikings
Comilla Victorians
Comilla Victorians
Rangpur Riders:
Mashrafe Mortaza, David Willey, Ravi Bopara, Adam Lyth, Thisara Perera, Kusal Perera, Samuel Badree, Johnson Charles, Mohammad Mithun, Sohag Gazi, Rubel Hossain, Shahriar Nafees, Nazmul Islam, Ziaur Rahman, Fazle Mahmud, Sam Hain, Samiullah Shenwari, Abdur Razzak, Ebadat Hossain, Elias Sunny, Nahidul Islam, Zahir Khan
Khulna Titans:
Mahmudullah, Rilee Rossouw, Kyle Abbott, Benny Howell, Jofra Chioke Archer, Dawid Malan, Chadwick Walton, Carlos Brathwaite, Shadab Khan, Sarfraz Ahmed, Junaid Khan, Shehan Jayasuriya, Seekkuge Prasanna, Mosharraf Hossain, Shafiul Islam, Nazmul Hossain Shanto, Abu Jayed, Afif Hossain, Yasir Ali,Imran Ali, Muktar Ali, Dhiman Ghosh, Saif Hassan, Ariful Haque.
Rajshahi Kings:
Mushfiqur Rahim, Lendl Simmons, Darren Sammy, Kesrick Williams, Malcolm Waller, James Franklin, Luke Wright, Farhad Reza, Samit Patel, Mohammad Sami, Mominul Haque, Mustafizur Rahman, Zakir Hasan, Nihaduzzaman, Rony Talukdar, Usama Mir, Raza Ali Dar, Hossain Ali, Naeem Islam jnr, Kazi Anik
এবারও ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলের পুরস্কার পেয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ও রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
মঙ্গলবার রাতে ঐতিহ্যবাহী লন্ডন প্যালেডিয়ামের ব্লুমসবুরি বলরুমে ঘোষণা করা হয় ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারজয়ীদের নাম।
পুরো বছরজুড়ে ক্লাব ও দেশের জন্য দুর্দান্ত পারফর্ম করে এবারও ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ব্রাজিলের রোনালদো এবং আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনার হাত থেকে পুরস্কার নেন সিআর সেভেন।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। উপস্থাপনা করেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ইদ্রিস এলবা এবংইংলিশ মডেল লায়লা-আনা লি।
পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ফিফার ইউটিউব চ্যানেলে আর ফেসবুক পেজে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সাল থেকেই নিয়মিতভাবে বর্ষসেরা ফুটবলার পুরস্কার দিয়ে আসছিল ফিফা। ২০১০ সাল থেকে ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে মিলে একীভূত হয়ে সেটির নাম হয়ে যায় ফিফা-ব্যালন ডি’অর।
ছয় বছর পর গত বছর আবার আলাদা হয়ে যায় ফিফা আর ফ্রান্স ফুটবল। কিছু পরিবর্তন এনে ব্যালন ডি’অর দেয়া হচ্ছে আগের মতোই। তবে আনা হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। ফিফার পুরস্কারটা ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করেছে ‘দ্য বেস্ট’ নামে।
প্রথমবারই সেরা হন রোনাল্ডো।
এদিকে ফিফা বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন রোনাল্ডোর গুরু জিনেদিন জিদান।
সেরা গোল কিপারের পুরস্কার পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী ইতালির ফুটবলার বুফন। তিনি বর্তমানে ক্লাব যুভেন্টাসের হয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছেন।
ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড জিতেছে স্কটিশ ফুটবল ক্লাব সেল্টিক এফসি।
ফিফা বর্ষসেরা নারী ফুটবল দলের কোচ হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ সেরিনা উইগম্যান।
ফিফা বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন নেদারল্যান্ডের লিকে মার্টিনজ।